কনটেক্সটঃ- একটি প্রাণঘাতী ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে। যেটি পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পুরো মানবজাতিকে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু এই ভাইরাসের আবিষ্কারক পুরো মানবসভ্যতাকে বিলীন করতে চান না। বরং ১ কোটি এর মত মানুষ সকল দেশে সমানভাবে বাচিয়ে রেখে পৃথিবী কে নতুনভাবে সাজাতে চান। এই অবশিষ্ট মানুষগুলোকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণপূর্বক পরিবেশবান্ধবভাবে জীবনযাপন করা শেখানো সম্ভব।

এই সংসদ এই ভাইরাসটি ছড়াবে।


# এই সংসদ Covid-19 এর প্রতিষেধক বা প্রতিরোধক আবিষ্কারে যেকোনো জেনেটিক গবেষণার ক্ষেত্র থেকে আইনী বা নৈতিক সীমাবদ্ধতাগুলি সরিয়ে দিবে।


কনটেক্সটঃ- করোনার পরিস্থিতি দিন দিন মারাত্মক হচ্ছে, এমন অবস্থায় বাংলাদেশের একজন দরিদ্র বিজ্ঞানী সাদেক সাহেব করোনার ওষুধ আবিষ্কার করলেন এবং সেটি পরীক্ষামূলক ভাবে কাজও করেছে। তিনি চাইলে এখনই কোন ধরনের লাভ ছাড়াই বাংলাদেশে ওষুধটি সরবরাহ করতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এর আগেও তার কাজের মূল্যায়ন করেনি এবং এখনও কোন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা এটির ব্যাপারে। এইসময় একটি বিদেশি কোম্পানি ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে তার ওষুধটির পেটেন্ট কিনে নিতে চাইলো। কিন্তু এতে করে বাংলাদেশে ওষুধ আসতে ৬ মাস সময় লাগবে এবং মূল্য বহুগুণ বেড়ে যাবে।

এই সংসদ (সাদেক সাহেব) বিদেশী কোম্পানির কাছে ওষুধ বিক্রি করে দিবে।


কনটেক্সটঃ- অপুর বাবা একজন বিজ্ঞানী যিনি করোনার এন্টিডোট আবিষ্কার করার উদ্দেশ্যে রিসার্চ করছেন। রিসার্চ করার সময় অপুর বাবা একটি স্যাম্পল থেকে করোনায় আক্রান্ত হন। তার মধ্যে করোনার লক্ষ্মণ স্পষ্টভাবে বিদ্যমান হওয়ায় স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে, অপুর বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে নেওয়া হলো। ডিউটি ডাক্তার তাকে দেখেই বললেন যে আজকেই সার্জারি দরকার অন্যথায় তার জীবন বাঁচানো অসম্ভব। তাকে ভর্তি করানোর আগ মূহুর্তে অপুর ফোনে টেক্সট আসে যে তার বাবা করোনায় আক্রান্ত। অপুর বাবাকে নিয়ে আসা হাসপাতালটার করোনার বিপক্ষে কোনো প্রস্তুতি নেই।

এই সংসদ (অপু হিসেবে), নিজের বাবাকে ভর্তির সময় তার বাবার করোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাবে না।


# )অনুমান করে যে করোনা পরবরর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক ধস নেমেছে, এই সংসদ মনে করে, পুঁজিবাদী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রণোদনা বৃদ্ধির পরিবর্তে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা উচিত।


কনটেক্সটঃ- নভেল করোনা মোকাবেলায় বাসায় কোয়ারেন্টিন পালন বেশ ফলপ্রসু। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলাতে সরকারী নির্দেশ স্বত্ত্বেও নিজ থেকে অনেকেই কোয়ারেন্টিন পালন করছে না যার কারনে পুরো দেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকে কোয়ারেন্টিন পালন করাতে জরিমানা(সর্বনিম্ন ৫০০) বা আইন রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া শারীরিক শাস্তি দুইটাই কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এই সংসদ তৃতীয় বিশ্বের দেশে কোয়ারেন্টিন পালনে জনগণকে বাধ্য করতে শারীরিক শাস্তি প্রদানকে সমর্থন করে।


# এই সংসদ, মহামারীর সময়ে মধ্যবিত্তদের নিঃস্পৃহতা (মানবপ্রীতি/ দান/ সমাজসেবা ইত্যাদি বিষয়ে) সমর্থন করে।


# এই সংসদ (বাংলাদেশ) করোনা-পরবর্তী সময়ে বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্যসেবার চেয়ে জিপি (General Practice) এর উপর অধিক গুরুত্ব দিবে।


কনটেক্সটঃ- বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী মাফিয়া গোষ্ঠী করোনা মহামারীর সময় এসে ত্রাণ ও সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে।

এই সংসদ একজন সমাজ সচেতন মধ্যবিত্ত হিসেবে এই সহায়তার বিরোধীতা করবে।


কনটেক্সটঃ- সম্প্রতি মিডিয়ায় কোভিড -১৯ এর কারনে সৃষ্ট লকডাউন ও জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য পরিবেশের উপর যে ভালো প্রতিক্রিয়াগুলো পড়ছে সে বিষয়গুলাকে এমনভাবে বারবার তুলে ধরছে যেখানে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষা পরিবেশের উপর ভালো ইমপ্যাক্টগুলাকে বেশি পজিটিভলি দেখানো হচ্ছে।

এই সংসদ একজন পরিবেশবাদী হিসেবে এই ন্যারেটিভকে এখন প্রচার করবে।


কনটেক্সটঃ- করোনা ভাইরাসের জন্য চীন একটি প্রতিষেধক কীট বানিয়েছে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু এই টেস্ট কীট পরীক্ষার সাইডিফেক্ট হলো যদি টেস্ট ফেল হয় তাহলে ঐ টেস্ট কীট যার উপর পরীক্ষা করা হবে তিনি মারা যাবেন। চীন এই টেস্টকীট যেসকল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্রিমিনাল রয়েছে , তাদের উপর পরীক্ষা করতে চায়। বিনিময়ে চীন এদের ন্যাশনাল হিরো/শহীদ খেতাব দিবে এবং এদের পরিবারদের আর্থিক সাহায্য দিবে। testkit এর সাকসেস প্রববিলিটি 50-50।

এই সংসদ (একজন অপরাধী হিসেবে) মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে টেস্ট কীট নিবে।


কনটেক্সটঃ- করোনা ভাইরাস সোস্যাল গ্যাদারিং এর মাধ্যমে ছড়ায় কিন্তু এটা হলেই যে মানুষ মারা যাবে এমন কোন কথা নেই। কেউ কেউ মারা যায়, অনেকেই সুস্থ হয়। অন্যদিনে দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী তো বটেই, মোটাদাগে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও হুমকির মুখে। এর ফলে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা, যেটি ঘটলে খাদ্যাভাবে নিশ্চিত অনেকের মৃত্যুর ঘটবে। ১১ মে পর্যন্ত সরকার লকডাউন রেখেছে।

এই সংসদ(উন্নয়নশীল দেশ) ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি ধরে নিয়ে, ১১মে এর পরে লকডাউন তুলে দেওয়াকে সমর্থন করে।


কনটেক্সটঃ- বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমন পর্যায়ে পৌছিয়েছে যেখানে রোগাক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ১ জন কে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।

এই সংসদ ৬৫ বয়সোর্ধ কাউকে করোনার চিকিৎসা প্রদান করবে না।


কনটেক্সটঃ- করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে বিশ্বের বড় বড় শিল্পকারখানা আর যানবাহন বন্ধ থাকার দরূণ পরিবেশ দূষণ কমেছে অনেকগুণ। ফলে বিশ্বের জলবায়ু প্রায় ১০ বছর আগের অবস্হায় ফিরে গেছে। পরিবেশ পুনরায় সুন্দর করে সেজে উঠছে, ফিরে আসতে শুরু করেছে বিপন্ন প্রায় প্রজাতিগুলো। মোটাদাগে অনাকাঙ্খিত এই লকডাউন পরিবেশ রক্ষায় বেশ কার্যকর ভূমিকা রখেছে পাশাপাশি এই সময়টা মানুষের পারস্পারিক/পরিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজে এসেছে।

সম্ভব ধরে নিয়ে, এই সংসদ,করোনা-পরবর্তী বিশ্বে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাধ্যতামূলক লকডাউন পালন করাকে সমর্থন করে।


কনটেক্সটঃ- এমন একটি প্রযুক্তি "কটকটি" আবিষ্কৃত হয়েছে যা COVID-19 মহামারী বা অন্য যেকোনো মহামারীর সময়কালে যেসকল কার্যকলাপ করা নিজের ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ তা করার উদ্যোগ নিলে উক্ত ব্যক্তির সম্মুখে ঐ কাজের ক্ষতির একধরণের ভীতিকর দৃশ্য উপস্থাপন করে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি কোয়ারেন্টাইন ভঙ্গ করে বাড়ি হতে বের হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে তার সামনে ফুটে উঠবে তার আজ বাহিরে বের হওয়ার কারনে কীভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে সে, তার পরিবার এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালে রয়েছেন; অনেকে মৃত্যুর মুখোমুখি আবার অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।

এই সংসদ কটকটি- এর ব্যবহার সমর্থন করে।


কনটেক্সটঃ- করোনা মহামারীতে ফ্রন্টলাইনে থেকে যারা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে তার মধ্যে চিকিৎসকেরা অন্যতম। তবুও দেখা গেছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই, মাস্ক দেওয়া সম্ভব হয়নি। নকল মাস্ক দিয়ে দায়সারা ভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়েছে। এছাড়াও দেখা গেছে কিভাবে একজন চিকিৎসক জরুরি সুবিধার অভাবে মারা গেছেন, পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আরেকজন চিকিৎসককে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সর্বস্তরের চিকিৎসকেরা চলমান এই অনাচারের বিপক্ষে ধর্মঘট ডেকেছেন।

এই সংসদ, চিকিৎসকদের এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানায়।


কনটেক্সটঃ-  ধরে নিচ্ছি করোনা ভাইরাস কখনো আসে নাই। পৃথিবীর বর্তমান সামগ্রিক অবস্থা (রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক) কি এটা আমরা জানি। ভবিষ্যতে অবস্থা ভাল হবার বা খারাপ হবার সমান সম্ভাবনা আছে। জন্ম হয় "লটারি অফ বার্থের" মাধ্যমে। লিঙ্গ, বর্ণ, জাতি, রাষ্ট্র ইত্যাদি লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়।

এমতাবস্থায়, এই সংসদ পৃথিবীতে জন্ম না নেয়াকে বেছে নিবে।


কোভিড- ১৯ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিফলে, এই সংসদ "পৃথিবী থেকে করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত" চীনের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।


# এই সংসদ করোনা পরবর্তী বিশ্বে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করবে।


# এই সংসদ বিশ্বাস করে "Home Quarantine" এর সিদ্ধান্ত সরকার নয় প্রতি ব্যক্তি বিশেষ এর উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিৎ।


# এই সংসদ জটিল এবং দুরারোগ্য(ক্যান্সার,লিউকোমিয়া,ইত্যাদি) আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের চিকিৎসা অব্যাহত না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহনের অনুমতি প্রদান করবে।


কনটেক্সঃ- ইতালি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি তাদের স্বাস্থ্যখাত বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে এবং তাদের পক্ষে নতুন কোনো রোগীকে চিকিৎসা দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় ইতালির সরকার অশীতিপর (৮০ বছরের ঊর্ধ্বে) করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা না দেয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই সংসদ, ইতালি সরকারের অশীতিপর রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা না দেয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।


# এই সংসদ মহামারী চলাকালীন সময়ে ঐ রোগের(মেডিসিন/ভ্যাক্সিন) এর ক্লিনিক ট্রায়াল/এক্সপেরিমেন্ট চলাকালীন খবর জনসম্মুখে প্রকাশ করাকে সমর্থন করে না।











Comments
* The email will not be published on the website.
I BUILT MY SITE FOR FREE USING