# এই সংসদ, জাতির পিতার ধারনার রাজনীতিকরন কে সমর্থন করে না ।
কনটেক্সটঃ- সাল ২০২০। চীন ও ভারতের সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব সামরিক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এমন অবস্থায় ভুটান ও নেপাল নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যপারে ভারতের বিরোধিতা করছে।
এই সংসদ (বাংলাদেশ হিসেবে) ভারতের বিভিন্ন চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদ করবে।
কনটেক্সটঃ- এমন একটি পৃথিবীর কথা বলা হচ্ছে যার স্বরূপ বাংলাদেশের অনুরূপ। সে পৃথিবীর এক মধ্যবিত্ত মুসলিম দম্পতি যারা ১০ বছর চেষ্টা করার পর ডক্টর বলেন তারা একটি মাত্র সন্তান জন্মদান করতে পারবেন। কিন্তু যখনি সন্তান নিক না কেন সে একজন পূর্ণ সমকামী হবে।
এই প্রেক্ষাপট সত্য ধরে নিয়ে,এই সংসদ, দম্পতিটি হিসেবে সন্তানের জন্ম দিবে না
# এই সংসদ (বাংলাদেশ) Netflix এর মত দেশি/বিদেশি Paid কন্টেন্টে সেন্সরশিপ সমর্থন করে।
কনটেক্সট-১ঃ- স্বায়ত্বশাসন এমন একটি পদ্ধতি যে পদ্ধতিতে একটি ভূখন্ড ও সে অঞ্চলের মানুষ বিদেশের সাথে আলাদা চুক্তি বা সম্পর্ক স্থাপন এবং আলাদা সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাবাহিনী রাখা ব্যাতীত একটি রাষ্ট্রের অধীনে আলাদা কিছু নিয়ম কানুন নিয়ে বসবাস করে।
কনটেক্সট-২ঃ- বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ উভয় সরকারের সময় হতে বিভিন্ন ধরণের দাঙ্গা, হামলা, যুদ্ধ, হত্যার ঘটনা চলে আসছে। যার ফলে সরকার এবং পাহাড়িদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সন্দেহের সম্পর্ক তৈরী হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এই সমস্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূহুর্তে সরকার চায় যেভাবেই হোক একটা উপায়ে সম্পর্কের উন্নতি করতে।
এই সংসদ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি আদিবাসীদের জন্য স্বায়ত্বশাসন কায়েম করবে।
# এই সংসদ বাংলাদেশে "Motivational Speaking Industry" এর উত্থানে অনুতপ্ত।
কনটেক্সটঃ- সরকার থেকে একটা প্রণোদনা প্যাকেজ (স্বল্প ঋণে লোন বা ঋণবিহীন লোন; বৃত্তি; উদ্যাক্তা হওয়ার সরঞ্জামাদী প্রদান, ইত্যাদি) চালু করার আলোচনা চলছে। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোন তরুন যদি কর্মসংস্থান এর জন্য বড় শহরে (ঢাকা,চিটাগাং, রাজশাহী ইত্যাদি) না আসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাকেই দেয়া হবে এই প্যাকেজ দেয়া হবে। সুমিত একজন প্রান্তিক অঞ্চলের তরুন।
এই সংসদ, সুমিত হিসেবে এই প্যাকেজের প্রচলন সমর্থন করবে।
কনটেক্সটঃ-বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে সেগুলো যেখানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় এবং সেই উন্নয়নগুলো গুরুত্বপূর্ন পরিবর্তন আনার সক্ষমতা রাখে। যেমনঃ পদ্মা-সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা-চট্টগ্রাম একপ্রেসওয়ে।
আর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী হলো সেই সমস্ত প্রকল্প যা অপেক্ষাকৃত গরীব মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দেওয়া হয়। যেমনঃ- স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত মৌলিক অধিকার, বয়স্ক ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, টেকসই দারিদ্য উন্নয়ন, ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং, সল্পমূল্য খাদ্যপণ্য বিক্রি। তবে এখনো আরো অনেক ধরনের সামাজিক সুরক্ষার জায়গা রয়েছে। যেমনঃ- সবার জন্য পেনশন, স্বাস্থ্যবীমা, বেকার ভাতা ইত্যাদি।
এই সংসদ (বাংলাদেশ), বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প নয়, সামাজিক নিরপত্তা খাতে অধিক মনোযোগ প্রদান করবে।
# এই সংসদ বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্যে সেই বিষয় জড়িত সাব্জেক্ট ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে, এমন শর্তসাপেক্ষে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম লটারি মাধ্যমে চালনা করবে।
# এই সংসদ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের ব্যর্থতায় অনুতপ্ত।
কনটেক্সটঃ- বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এমন পর্যায়ে পৌছিয়েছে যেখানে রোগাক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ১ জন কে চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।
এই সংসদ ৬৫ বয়সোর্ধ কাউকে করোনার চিকিৎসা প্রদান করবে না।
কনটেক্সট :আব্দুল বারী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। একই সাথে পূর্ব পাকিস্তান এর সাথে হতে থাকা সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে সক্রিয়ভাবে। একই সাথে বারী ততকালীন আর্মির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা যার কাছে বাংলাদেশের সকল আর্মি বিষয়ক গােপনীয় তথ্য রয়েছে যেটি সম্পর্কে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার অবগত নয়। ২৫ শে মার্চ এর কালোরাত, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বারীর উপর আক্রমন করে। বারীর স্ত্রী সহ ৪ সন্তান এবং বাবা মা নিয়ে বসবাস করছিল সে রাতে। বারী ইতিমধ্যে গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পেয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী বারীকে সেই গোপন জানার জন্য হুমকি দেয় নতুবা আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যার হুমকি দেয়। এবং তথ্য প্রদান করলে বারীকে পাকিস্তানি আর্মির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হবার প্রস্তাব দেয়।
এই সংসদ (আব্দুল বারী) গোপনীয় তথ্যগুলো পাকিস্তানি বাহিনীকে বলে দিবে।
# এই সংসদ (বাংলাদেশ) গণপরিবহন ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করবে।
# এই সংসদ SPARRSO কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে আলাদা করে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করবে।
কনটেক্সটঃ-১৯৭৫ তে শেখ মুজিব মারা যান নি। তিনি ১৯৭৮ সালে বহুদলীয় নির্বাচন দিয়ে বাকশালের সমাপ্তি টানবেন। কর্নেল তাহের সেই নির্বাচন করবেন বলে ঘোষনা করেছেন।
এই সংসদ পরবর্তী নির্বাচনে কর্নেল তাহেরকে সমরথন করবে।
কনটেক্সটঃ- বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা কোনপ্রকার রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারে না।কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর সচিবালয় থেকে সচিব ও কর্মচারীরা বিরোধীদলগুলোর সাথে আন্দোলন করে বিএনপি সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মঞ্চ তৈরী করে।
এই সংসদ জনতার মঞ্চের ধারণাকে সমর্থন করে।
# এই সংসদ বাংলাদেশের জাতীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের নীরব থাকাতে অনুতপ্ত।
-----------------------------